মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ:
টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপের চাঞ্চল্যকর গৃহবধু তাহেরা বেগম হত্যা মামলার দুই নারী আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হচ্ছে শাহপরীরদ্বীপ হাজির পাড়ার মোঃ ইকবালের স্ত্রী হাছিনা বেগম (৩৫) ও বশির আহমদ প্রকাশ বশর বৈদ্যের মেয়ে শামীমা আক্তার (২২)। ২ জুলাই রবিবার দুপুর ২ টায় গোপন সংবাদে নিজ বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে এসআই মুফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের আটক করে। আটককৃতদের টেকনাফ মডেল থানার হাজত ঘরে রাখা হয়েছে।
২৭ অক্টোবর/১৬ ইং দিবাগত রাত্রে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ হাজিপাড়ার মৃত আবদুল কাদের মাঝির ছেলে সৌদি প্রবাসী জমির হোসেনের স্ত্রী তাহেরা বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর তার দুই সন্তানকে গুম করে রাখে। ওই পরিবার এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিহত গৃহবধু তাহেরা বেগম (২৬) সেন্টমার্টিন পূর্বপাড়ার বাসিন্দা আবুল বশরের মেয়ে। এব্যাপারে নিহতের পিতা আবুল বশর বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় ভাসুর ইকবাল হোসেনকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে ২৩ মার্চ ৭৬/২০১৭ নং হত্যা মামলা রুজু করে।
জানা গেছে, বিগত ৭ বছর পূর্বে জমির হোসেনের সাথে নিহত তাহেরা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। তাঁরা হলো- শাহিনা আক্তার (৩ বছর) ও সুহানা আক্তার (১৪মাস)। হত্যার খবর পেয়ে ঘটনার দিন রাত ১১ টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের শয়ন কক্ষের মেঝ থেকে তাহেরার মৃত দেহটির সুরতহাল তৈরী করে থানায় নিয়ে আসে। তখন লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং ওই সময় বাড়িতে কাউকে পায়নি। নিহতের পিতা ও মামলার বাদী আবুল বশর জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে নিহত মেয়ের দুই সন্তানের সন্ধান এখনো পাওয়া যাইনি। মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের সময় দুই পা বাঁধা ছিল। শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি জানতে পেরেছেন ভাসুর ইকবালের নেতৃত্বে তার মেয়েকে হত্যা করে স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করেছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মইন উদ্দিন খাঁন হত্যা মামলার দুই পলাতক নারী আসামীকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পাঠকের মতামত: